বেক্সিমকোকে ঋণসুবিধা দিয়ে চালু রাখার সুপারিশ সরকারি কমিটির

বেক্সিমকোকে ঋণসুবিধা দিয়ে চালু রাখার সুপারিশ সরকারি কমিটির

সরকারি কমিটি বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য নতুন ঋণসুবিধা দেয়ার সুপারিশ করেছে, তবে জনতা ব্যাংকের ঋণ সঙ্কট আরও গভীর হচ্ছে

বেক্সিমকো গ্রুপের ২৩,৫৫৭ কোটি টাকা ঋণ সুদবিহীন ব্লক হিসেবেই রাখার দাবি করেছে কোম্পানিটি। তারা এই ঋণ পরিশোধের জন্য ১০ বছরের সময় এবং ২ বছরের ঋণ পরিশোধ ছাড় চেয়েছে। পাশাপাশি, শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্টোবর মাসের বেতন প্রদানের জন্য ৬০ কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রুপটি আরও ৭০০ কোটি টাকার ঋণসুবিধার দাবি জানিয়েছে, এবং তার জন্য ৬৮৩ কোটি টাকার সম্পত্তি (জমি ও শেয়ার) বন্ধক রাখার প্রস্তাব করেছে।

এছাড়া, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন, বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন।

বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা এখন আবার বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এর ফলে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের একটি বিশেষ কমিটি আলোচনা শুরু করেছে। কমিটি বেক্সিমকোকে ঋণসুবিধা দিয়ে চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের বেতন প্রদান করতে এবং ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন ব্যবস্থা নিতে পারে।

বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের মধ্যে প্রায় ১৮,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে, এবং প্রায় ১,১০০ কোটি টাকার রপ্তানি আয় এখনো দেশে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে জনতা ব্যাংকও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছে না। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনো গ্রুপকে সর্বোচ্চ ১,৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু বেক্সিমকোকে প্রায় ১৬ গুণ বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপন্থী।

এদিকে, জনতা ব্যাংক এখন আর নতুন ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তবে, শ্রমিকদের বেতন প্রদানে সহায়তার জন্য তারা সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

**বেক্সিমকো গ্রুপের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকারের ঋণসুবিধা এবং ব্যাংকিং নীতিমালার ওপর।**

সর্বশেষ সংবাদ