অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমি কখনোই কোনো পদ বা চেয়ারে বসার কথা ভাবিনি। তবে প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা সত্যিই লোভনীয়, এমন কিছু বলা মুশকিল।” আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফারুকী বলেন, “আমি আশা করি, যে সময়টুকু কাজ করব, তাতে কিছু পরিবর্তন আসবে। যদি তেমন কিছু ঘটাতে পারি, তবে মনে করব আমার এই পদক্ষেপ সফল হয়েছে।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু থেকেই এই উদ্যোগের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন ফারুকী। গত ৮ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার অংশ হিসেবে ফারুকী যোগ দেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সময় ফারুকী মন্তব্য করেন, “যদি আমার কোনো ভুল হয়, তবে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, বিনা সংকোচে তা আমাকে জানিয়ে দেবেন। আমি তা সাদরে গ্রহণ করব।”
শপথ গ্রহণের জন্য কালো পাঞ্জাবি, পায়জামা ও ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় বঙ্গভবনে যান ফারুকী। তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, অভিনেত্রী তিশা। তিশা ফারুকীর শপথের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “নতুন পথচলার জন্য তোমাকে অভিনন্দন। আলহামদুলিল্লাহ।”
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অভিনন্দন জানান বিভিন্ন পেশার মানুষ, যেমন নির্মাতা স্বপন আহমেদ, খিজির হায়াত খান, রাশীদ পলাশ, গৌতম কৈরী, সংগীতশিল্পী এলিটাসহ অনেকে।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র এবং নাটক নির্মাণ করে খ্যাতি পেয়েছেন ফারুকী। তার প্রখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’, এবং ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ অন্যতম।