শারজায় প্রথম জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ

শারজায় প্রথম জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ

দল যখন হেরে যাচ্ছে, ব্যাটিং যখন অস্থিতিশীল, তখন চোট, অসুস্থতা এবং খেলোয়াড়দের ভিসা সমস্যাও যুক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শারজায় বাংলাদেশের জন্য চাপের দ্বিগুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হারলেই সিরিজও হারতে হতো। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের দল তা হতে দেয়নি।

বাংলাদেশের ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে আফগানিস্তান ১৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৬৮ রানের এই জয় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ছিল, কারণ এটি তাদের প্রথম জয় ছিল ঐতিহ্যবাহী শারজাতে। এর মাধ্যমে সিরিজে সমতা ফিরে আসে, ১-১।

বাংলাদেশের প্রথম জয় শারজায় এসেছে প্রায় সাড়ে ৩৪ বছর পর। ওয়ানডে হিসাব করলে এটি ছিল বাংলাদেশের সপ্তম ম্যাচ, যেখানে তাদের জয় ছিল না। এর আগে শারজায় বাংলাদেশ তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছে।

এবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন। সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান শুরুটা ভালো করলেও, শারজায় বিশেষভাবে বিপজ্জনক আফগান স্পিনারদের সামনে ইনিংসটি গড়তে বেশ সময় নেয় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন ৭৬ রান করে দলের হাল ধরেন। শেষ দিকে জাকের আলী ওয়ানডে অভিষেকেই দুর্দান্ত খেলেন, নাসুম আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তার পার্টনারশিপ বাংলাদেশের ইনিংসকে ২৫২ রানে পৌঁছে দেয়।

এই রান রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ পারফর্ম করতে হতো। নাসুম আহমেদ এক বছর পর দলে ফিরে সেই কাজটি করেছেন। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এবার তাসকিন, মিরাজ, মোস্তাফিজ, শরীফুল ও নাসুমের বোলিংয়ে আফগানদের পতন হয়। শুরুটা করেন তাসকিন, যিনি প্রথম ম্যাচের মতো এবারও আফগান ওপেনার গুরবাজকে ফেরান।

এরপর নাসুমের আঘাত—হাশমতউল্লাহ ও সাদিকুল্লাহকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে ১১৯ রানে নিয়ে আসে। গুলবদিন এবং নবীর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার পর শরীফুল ও মিরাজের বোলিংয়ে আফগান ইনিংস শেষ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয়েছিল তানজিদ ও সৌম্যর আক্রমণাত্মক শুরুর মাধ্যমে। যদিও পরবর্তী ওভারগুলোতে রশিদ খান ও গজনফরের স্পিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ চাপের মধ্যে ছিল। নাজমুল হোসেন খেলেন দুর্দান্ত একটি ইনিংস, ৭৬ রান করে। তবে বড় স্কোর করতে গিয়ে কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে জাকের এবং নাসুমের জুটিতে ৪১ বলে ৪৬ রান বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যায়।

এ ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিরিজে সমতা ফিরে আসে, এবং আগামী ১২ নভেম্বর শারজাতেই সিরিজের শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ