ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দাফন গোপালগঞ্জে

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দাফন গোপালগঞ্জে

অনলাইন রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে আজ রোববার বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁর পারিবারিক সূত্র ও প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত বাসস’কে জানিয়েছেন।

শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন )।

আজ দুপুরে সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন স্বজনরা।

বাসস গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মরদেহ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে।

আজ বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তাঁর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

দীর্ঘদিন শহরের কলেজ রোডের যে বাসায় থেকে তিনি রাজনীতি করেছেন সেই বাসায়ও তাকে আনা হবে না।

সরাসরি ঢাকা থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়ি কেকানিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে সমাহিত করা হবে।

এদিকে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের সকলের প্রিয় মুখ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর খবরে জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমদেনা জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।

তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৯ কন্যা, ১ পুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ