নওগাঁয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষকরা

নওগাঁয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ॥ নওগাঁ জেলার বাজার গুলোতে বোরো ধানের দাম বেশি পাওয়ার কারনে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছে না লটারীতে নির্বাচিত কৃষকরা। ফলে সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ অভিযানে গতি নেই। তাই সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্মকর্তারা বলছেন, বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধনের পর থেকে গত এক মাসে শনিবার পর্যন্ত জেলায় ৫৯০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ফারুক হোসেন পাটোয়ারি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলায় ৩২ হাজার ৩৪০ মেঃটন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ধার্য্য করা হয়। ইতোমধ্যেই করোনা, আমফান, ঝড়-বৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকরা ঘরে বসেই ব্যাপারীদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা খাদ্যবিভাগের পক্ষ থেকে লটারীতে নির্বাচিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি। আর এসব দুর্যোগের কারনেই সংগ্রহের গতি কমে গেছে।

জেলায় নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক দুই মেট্রিকটন করে ধান সরকারি খাদ্যগুদামে দিতে পারবেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেপারীদের কাছে প্রায় প্রতিমন ধানে পঞ্চাশ থেকে একশ’ টাকা বেশি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে এক হাজার ৪০ টাকা প্রতি মন ধান ক্রয় করছেন। এরপর ধানের মান, আদ্রতা, ব্যাংক একাউন্টসহ নানা বিধ ঝামেলা রয়েছে।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ধানের মোকাম খ্যাত আবাদপুকুর হাটে রবিবার চিকন জাতের প্রতিমন ধান এক হাজার ৫০ টাকা থেকে প্রায় এক হাজার ১৫০ টাকায় এবং মোটা জাতের ধান সাড়ে আটশ’ থেকে ৯শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাদপুকুর ধান, চাল আড়তদার সমিতির সম্পাদক হেলাল উদ্দীন মন্ডল। ফলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি না করে স্থানীয় বাজারেই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন কৃষকরা। এতে করে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ।

লটারীতে নির্বাচিত কৃষকরা জানান, এবারেই চরতি মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাচ্ছি আমরা। সরকারি খাদ্যগুদামে প্রতিমন ধান ক্রয় করছেন ১ হাজার ৪০ টাকা মন। আবার অনেক ঝামেলাও আছে। তাছাড়া স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করে সরকারি খাদ্যগুদামের চাইতে মনপ্রতি একশ’ থেকে ১৫০ টাকা বেশি পাচ্ছি। তাই বাজারেই ধান বিক্রি করছি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে। খাদ্যগুদামে কৃষকদের ধান না দেয়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তিতে তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই মোতাবেক ধান সংগ্রহ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ